Product Description
আসছে শীতকাল। এ সময় গরু ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ অন্যান্য গবাদিপশু-পাখির নানান রকমের রোগবালাই হয়ে থাকে।
তীব্র শীত থেকে গবাদিপশুকে রক্ষা করার উপায়ঃ
গবাদিপশুর খাবারঃ
শীতে পশুর খাবার দিকে স্পেশাল নজর দিতে হবে। কাঁচা ঘাস আগে যেমন দেওয়া হত তেমন দিতে পারেন। অনেকেই শীতের দিনে পানি খাওয়ানো একদম বন্ধ করে দেন এটি ঠিক না শীতে পানি দিতে হবে এবং অবশ্যই হাল্কা কুসুম গরম পানি দিবেন আর পানি বেশি সময় দিয়ে রাখবেন না এতে ঠান্ডা হবে পানি আর ঠান্ডা পানি পান করলে আরো ঠান্ডা লাগবে। পানির সাথে ৩-৪ ঘন্টা ভিজিয়ে সরিষার খৈল শুরু থেকে অল্প অল্প করে অভ্যাস করান শরিষার খৈলে অধিক প্রোটিনের কারনে শরীর গরম থাকবে।
শীতে পশু গুলোর শরীর গরম রাখার জন্য এবং ধকল কাটিয়ে উঠতে এনটি ক্যাল ভেট (ক্যালসিয়াম,)
শীতে গবাদিপশুর শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে এনটি ক্যালভেট অপরিহার্য
দুগ্ধ জ্বরঃ
দুগ্ধ জ্বর কথাটি শুনলে জ্বরের কথা মনে আসে ।আসলে দুগ্ধ জ্বরে কোনো ধরনের জ্বর হয়না ।বরং অনেক ক্ষেত্রে গবাদি পশুর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায় । এটি একটি ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত বিপাকীয় রোগ ।গবাদি পশুর গর্ভধারণের সঙ্গে এ রোগের একটি বিশেষ সম্পর্ক আছে গর্ভবতী পশুর গর্ভের বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধি ও বাচ্চা প্রসবের পর `শাল দুধের জন্য প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম ব্যবহার হয় ।সাধারনত স্বাভাবিক দুধে যে পরিমান ক্যালসিয়াম থাকে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি ক্যালসিয়াম শাল দুধে থাকে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমান ৯-১২ মিগ্রা /১০০মিলি ,কিন্তু দুগ্ধ জ্বরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ৭.৫মি.গ্রা।/১০০মিলি এর নিচে চলে যায় ।
রোগের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিঃ
বয়স :সাধারনত বয়স ও দুধ উৎপাদন সঙ্গে সঙ্গে গবাদিপশুর রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় ।সাধারনত প্রথম বাচ্চা দেয়া গাভিতে রোগটি খুব কম হয় ।
পুষ্টি ঘাটতি :
গাভী ৪৮ ঘন্টা বা তার চেয়ে বেশি উপবাস থাকলে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমান কমে রোগটি হতে পারে ।
হরমন :
বাচ্চা দেয়ার সময় ইস্ট্রোজেন হরমন কমে গেলে অন্ত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যায়।
এই ধরনের সমস্যা হতে আপনার গবাদি পশুকে রক্ষা করতে এনটি ক্যালভেট সেবন করান,ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল পাবেন।